নাফটিভি ডেস্ক::::::
দেশে নানা ধরনের অপরাধপ্রবণতায় এবং অপরাধীরা কৌশল বদলানোয় এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কৌশল পাল্টিয়েছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রচলিত ধারায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণের যে পদ্ধতি এত দিন ছিল, তা থেকে সরে এসেছে পুলিশ। নতুন কৌশলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে কিভাবে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই পথে এগোচ্ছে পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চেকপোস্টগুলোর ব্যারিকেড থাকলেও সেখানে কোনো পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন না। অপরাধী ধরতে চেকপোস্টের কৌশল পাল্টে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। কারণ যেখানে যেখানে চেকপোস্ট আছে, তা অপরাধীরা জানে। ফলে তারা অন্য পথে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপরাধীরা কৌশল পাল্টানোয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশও কৌশল পাল্টেছে। তবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জরুরি প্রয়োজনে চেকপোস্ট বসাতে হলে কিংবা স্থায়ী চেকপোস্টগুলোতে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বিশেষ করে কাউকে আটকের পর তথ্য-উপাত্ত যাচাই না করে নাজেহাল না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ সুপারদের। আর রাজধানীর সব ক্রাইম বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চেকপোস্টগুলোয় নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গত শনিবার বিট পুলিশিং নিয়ে এক সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, যখন প্রয়োজন হবে তখন রাস্তায় চেকপোস্ট বসানো হবে। পারমানেন্ট চেকপোস্ট থাকলে ক্রিমিনালরা ওই দিক দিয়ে আসবে না। আর সাধারণত প্রয়োজন হলে ওয়্যারলেসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে থানা পুলিশ তাত্ক্ষণিক চেকপোস্ট বসায়। কোথাও চেকপোস্ট বসানোর পর ডিসিরা যেন তা পরিদর্শন করেন, তারও নির্দেশনা থাকে।
Discussion about this post